ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় প্রবাসির শিশু মেয়েকে অপহরণের চেষ্ঠা: বাঁধা দেয়ায় মাকে মারধর

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় ঈদের দিন মায়ের সাথে বেড়াতে যাবার পথে প্রবাসির শিশু মেয়েকে অপহরণের চেষ্ঠা করেছে দুর্বৃত্তরা। ওইসময় মেয়ের শোর-চিৎকারে তাকে বাঁচাতে গেলে মাকেও মারধর করা হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের রামপুর মাদরাসা পাড়াস্থ চলাচলের রাস্তার উপর ঘটেছে এ ঘটনা। গুরুতর আহত শিশু মেয়ে ও তার মাকে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় রোববার ২ আগস্ট শিশুটির মা উন্মে সালমা বাদি হয়ে ঘটনায় জড়িত ৫ জনের নাম উল্লেখ করে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার জমা দিয়েছেন। বাদি উন্মে সালমা রামপুর মাদরাসা পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসি মিজানুর রহমানের স্ত্রী।

এজাহারনামীয় বিবাদিরা হলেন সাহারবিল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের রামপুর মাদরাসা পাড়া এলাকার রফিক উদ্দিনের ছেলে দিদারুল ইসলাম, আবু হানিফ, এনামুল হকের স্ত্রী মোকারমা বেগম লাকী ও মৃত ইসহাক আহমদের ছেলে রফিক উদ্দিন। চকরিয়া থানার ওসি বাদির অভিযোগটি তদন্তের জন্য এসআই হিরু বড়ুয়াকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

এজাহারে বাদি গৃহবধু উন্মে সালমা জানান, তাঁর স্বামী মিজানুর রহমান জীবিকার তাগিদে দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে আছেন। বাড়িতে সাতবছর বয়সের একমাত্র মেয়ে সাফেয়াত রহমানকে নিয়ে তিনি একা থাকেন। স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাদে সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে। এ অবস্থায় অভিযুক্ত পক্ষের লোকজন বিভিন্ন সময়ে আমার সংসারের আর্থিক স্বচ্ছ্বলতা সহ্য করতে পারেনা। এতে প্রতিহিংসা বশত: তারা বিভিন্ন সময়ে ঝামেলা তৈরী করে ক্ষতিসাধণের চেষ্ঠা চালিয়ে আসছিলেন। বাড়িতে পুরুষ সদস্য না থাকার সুযোগে ইতোপুর্বেও তাঁরা বেশ কটি ঘটনা করে। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেয়।

বাদি উন্মে সালমা এজাহারে বলেন, শনিবার রাত সাড়ে টার দিকে তিনি এবং মেয়ে সাফেয়াত রহমান ও দুই ননদকে নিয়ে বাড়ির পাশে অপর ননদ মর্জিনা বেগমের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাচ্ছিলেন। এসময় পুর্ব বিরোধের জেরধরে অভিযুক্ত পক্ষের লোকজন রামপুর মাদরাসা পাড়াস্থ চলাচলের রাস্তার উপর অতর্কিত আমাদের গতিরোধ করে আমার শিশু মেয়েকে অপহরণের চেষ্ঠা করে। ওইসময় মেয়ের শোর-চিৎকারে তাকে বাঁচাতে গেলে তাঁরা আমাকেও মারধর করে। ঘটনার সময় আমার মেয়ের গলা থেকে একটি স্বর্ণের চেইন ও আমার গলা থেকে একটি চেইন এবং একজোড়া কানের দোল লুটে নেয়। ঘটনার পরপর আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।

পাঠকের মতামত: